মূল পাতা আন্তর্জাতিক উপমহাদেশ রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্টরাই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় পর্যবেক্ষক : ভারতের সিইসি
রহমত নিউজ ডেস্ক 17 October, 2023 12:45 PM
ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্টরাই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় পর্যবেক্ষক। আমরা মনে করি আমাদের ভোটাররাই পর্যবেক্ষক। অবশ্য আমরা ভারতের নির্বাচনী পদ্ধতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকি। অনলাইন-অফলাইন দুইভাবেই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়ে থাকে। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে কত শতাংশ ভোটগ্রহণ মানদণ্ড হতে পারে, এমন নির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড নেই। ভারতের শেষ লোকসভা নির্বাচনে ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল। কোনো রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ শতাংশ ভোটও পড়ে। তবে কোথাও ৫০ শতাংশের নিচে পড়েনি।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশন ভবনে সফররত বাংলাদেশি সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সঞ্চালনা করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত সচিব অরিন্দম বাগচী। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের মহাপরিচালক (মিডিয়া) বালসুব্রামানিয়ান নারায়ণান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বাসুদেব রবি, পবন স্মরণ, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস, ইনফরমেশন ও কালচার) শিলাদিত্য হালদার প্রমুখ।
ভারতের সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেকোনো নির্বাচন ব্যবস্থাপকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। কারণ এতে ভুল তথ্য ও গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর সমাধান আমাদের বের করতে হবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অবশ্যই মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে এবং এটাই বড় কথা, নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি শতভাগ স্বচ্ছ হয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য যেকোনো কার্যক্রম রাজনৈতিক দল এবং মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করতে হবে। আপনি ভোটকক্ষ স্থাপন করবেন, জানাতে হবে। নতুন নির্বাচনী বিধি জারি করবেন, সেটাও জানাতে হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার যা-ই করুন, রাজনৈতিক দল ও মিডিয়ার কাছে সেটা তুলে ধরতে হবে। যেন তাদের মনে কোনো সন্দেহ না থাকে।
রাজীব কুমার বলেন, আমাদের ইভিএম মেশিনগুলো নির্বাচনের ছয় মাস আগে রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতিতে চেক (যাচাই) করা হয়। ঠিক সেই মেশিনের নির্দিষ্ট কেন্দ্র এবং নির্দিষ্ট বুথ জানিয়ে দেওয়া হয় দল বা প্রার্থীকে, যাতে তারা ভোটগ্রহণ শেষে ওই কেন্দ্র বা বুথেই সেই নির্দিষ্ট ইভিএমটি খুঁজে পান। মেশিনগুলোর ব্যাটারি স্থায়ীভাবে চার্জ করা। তাই নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় কোনো সমস্যা করে না। ভোটিং মেশিন ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার অধীনে থাকে। যখন নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয় তখন পুলিশ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। তারা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেকই কাজ করে।
রাজনৈতিক দলের ভোটে অংশগ্রহণের বিষয়ে ভারতের সিইসি বলেন, ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো ভালো করে উপলব্ধি করে যে, তারা যদি নির্বাচনে না আসে, তাতে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। সেজন্য তারা উৎসাহের সঙ্গে ভোটে অংশ নেয় এবং প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই নির্বাচন কমিশনের ওপর গভীর আস্থা হয়েছে। সেজন্য রাজ্য থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত যত ভোট হয়েছে এ যাবতকাল, সব পক্ষ গ্রহণ করেছে এবং সেখানে সরকার গঠিত হয়েছে।